রাজনৈতিক দল ও সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সাথে কথা বলে বিরাজমান সমস্যাবলী সমাধান করতে সিলেটের জেলা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী। রাজনৈতিক দলকে অবজ্ঞা করে কারো একক কিংবা ইচ্ছেমাফিক সিদ্ধান্ত সিলেটের মানুষ বরদাশত করবে না। প্রয়োজনে সিলেটের মানুষ প্রশাসনকে বয়কট করতে বাধ্য হবে।
সিলেটের পাথর কোয়ারিসমূহে সৃষ্ট অচলাবস্থা, জালালাবাদ অন্ধ কল্যাণ সমিতির সম্মুখের দোকানপাট ভেঙে ফেলা এবং ইট ভাটা সমূহের সংকট নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাতে মিডিয়ায় মুখোমুখি হন বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরী। আলাপকালে তিনি সাম্প্রতিক সময়ে জেলা প্রশাসনের একক সিদ্ধান্তে গৃহীত কিছু কার্যক্রম নিয়ে তার অবস্থান তুলে ধরেন।
আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সিলেটের মানুষ একদিকে যেমন সহনশীল, তেমনি আইনের প্রতিও শ্রদ্ধাশীল। সামরিক কিংবা ফ্যাসিবাদী কায়দায় মানুষের সর্বস্ব শেষ করে দেয়া যায় না। বছরের পর বছর ধরে চলা অনিয়মকে নিয়মের মধ্যে আনতে হলে মানুষকে কিছুটা সময় দিতে হবে। আলোচনা করতে হবে, তাদেরকে নোটিশ করতে হবে। কিন্তু, তা না করে সিলেট অঞ্চলে বেশ কিছু কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে সিলেট জেলা প্রশাসন। বিরাজমান সমস্যাবলী সমাধানে জেলা প্রশাসন রাজনৈতিক দল, স্টেকহোল্ডার এমনকি জনপ্রতিনিধিদের সাথে কথা বলতে চান না। তারা গুটিকতেক লোককে নিয়ে তাদের সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়ন করছেন। এ অবস্থায় জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে সব সেক্টরের মানুষ ফুঁসে উঠেছেন। সিলেটের পাথর কোয়ারি অধ্যুষিত এলাকায় মানুষের মধ্যে হাহাকার চলছে। বিপুল সংখ্যক শ্রমিক বেকার।
অন্যায়কারীদের বিএনপি প্রশ্রয় দেয় না-এই মন্তব্য করে তিনি বলেন, জাফলংয়ের দুষ্কৃতকারীদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু, তাদের অনেকেই এখনো আইনের আওতায় আসেনি।
জালালাবাদ অন্ধ কল্যাণ হাসপাতালের আলোকপাত করে তিনি বলেন, এটি একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। অথচ এ হাসপাতালের প্রতি সম্মুখের দোকানপাট কারো সঙ্গে আলোচনা না করেই ভেঙে দেয়া হয়েছে। পদাধিকার বলে এ হাসপাতালের সভাপতি জেলা প্রশাসক। হয়তো আগেকার কোন জেলা প্রশাসক তাদেরকে এসব দোকানের বন্দোবস্ত দিয়েছেন। সময় না দিয়ে দোকানগুলো ভেঙে ফেলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন আরিফুল হক চৌধুরী।
আরিফুল হক চৌধুরী এও বলেন, আমরা কোন অন্যায় কাজকে প্রশ্রয় দেবো না। তবে, দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত অন্যায় রাতারাতি সমাধান করা যাবে না। প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, ১৭ বছর আপনারাও অন্যায়ের সাথে হাবুডুবু খেয়েছেন। সিলেট বিদ্বেষীদের ব্যাপারে সকলকে সোচ্চার হবার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এদেরকে এ অঞ্চলের মানুষ শ্রদ্ধা করে না, তাদের প্রতি রয়েছে ঘৃণা।