
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওর ও ঢালা এলাকায় নদী পরিদর্শন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। এসময় ভরত খাল নদীতে অবৈধভাবে মাছ আহরণের জন্য জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৫ জেলেকে আটক করা হয়।
পরবর্তীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পাঁচজন জেলেকে মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন, ১৯৫০ (সংশোধিত)-এর ধারা ৫ (১) অনুযায়ী পাঁচ মাসের (১৫০ দিন) বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার হাওর ও ঢালা এলাকায় নদী পরিদর্শনকালে এই ঘটনা ঘটে। পরে তাহিরপুর থানা পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্তদের আটক করে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন, বাদাঘাট ইউনিয়নের পাতারগাঁও গ্রামের পাঠান মিয়া (৩৪), আবু বক্কর (২৫), আলীনুর (২৭) ও নুর আহমদ। আরেকজনের নাম জানা যায়নি।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকার দেশের মৎস্য সম্পদ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। অবৈধ জাল ব্যবহার ও প্রজনন মৌসুমে মাছ আহরণের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে। পরিদর্শনকালে তিনি স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রমের প্রশংসা করেন এবং মৎস্যসম্পদ রক্ষায় সাধারণ মানুষকে সহযোগিতার আহ্বান জানান।’
উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এদিন সুনামগঞ্জ পৌর শহরের সার্কিট হাউস থেকে সড়কপথে তাহিরপুর উপজেলা পরিদর্শনে আসেন। পরে স্পিডবোটযোগে টাঙ্গুয়ার হাওর, নীলাদ্রি লেক এবং আশপাশের নদ-নদী ও হাওর এলাকা ঘুরে দেখেন তিনি।
তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেলোয়ার হোসেন জানান, ‘উপদেষ্টা ফরিদা আখতার নদীতে বাধা সৃষ্টি করে মাছ ধরার অভিযোগে ৫ জনকে আটক করার নির্দেশ দেন। আমরা সঙ্গে সঙ্গে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করি।’
পরিদর্শনকালে মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ আব্দুর রউফ, মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ড. আবু নঈম মুহাম্মদ আবদুছ ছবুরসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।