স্টাফ রিপোর্টার ঃ-
হবিগঞ্জে অভিনব কায়দায় স্বর্ণ ও টাকা পয়সা প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র। আর হাতিয়ে নেয়া স্বর্ণ কিছু অসাধু জুয়েলার্স ব্যবসায়ীরা স্বল্পমূল্যে ক্রয় করছেন। যদিও প্রশাসন থেকে নিষেধ রয়েছে মেমো ও প্রমাণ ছাড়া কোনো স্বর্ণ বেচাকেনা যাবে না। কিন্তু এ নিষেধ আমলে নিচ্ছে না কতিপয় স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। ফলে চুরি বা প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া স্বর্ণ ফেরত পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের দৌরাত্ম দিন দিন বেড়েই চলেছে।
গতকাল রবিবার দুপুরে শহরের স্টাফ কোয়ার্টার এলাকার উষা শিল্পালয়ের মালিক উজ্জল রায়ের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ চোরাই স্বর্ণ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় বেরিয়ে এসে প্রতারণার কাহিনী। সুলেকা আক্তার ওরফে মায়া নামে ওই চক্রের সদস্য বিয়ের ঘটক সেজে অভিনব কায়দায় বানিয়াচং উপজেলার পুকড়া ইউনিয়নের কাঠখাল গ্রামে বিয়ের কনে দেখতে যাবার বাহানায় ওই বাড়ির সকল পুরুষদেরকে বলেন, ছেলে পুকুড়া বাজারে আছে, তাকে নিয়ে আসেন। ওই বাড়ির লোকজন কনে সাজানোর কাজে ব্যস্ত থাকাবস্থায় এবং বাড়িতে পুরুষ না থাকার সুযোগে সুলেকা চেতনানাশক স্প্রে দিয়ে তাদের অচেতন করে টাকা পয়সা, স্বর্ণ নিয়ে সটকে পড়ে।
এদিকে বাড়ির লোকজন পুকড়া বাজারে গিয়ে দেখেন পাত্র দাড়িয়ে থাকার বিষয়টি ছিলো ভ‚য়া। পরে তারা বাড়িতে এসে দেখতে পান তাদের বাড়ির মহিলারা প্রতারিত হয়েছেন এবং বাড়ি থেকে থাকা উল্লেখিত জিনিসপত্রসহ বিয়ের ঘটক সাজা মহিলা উধাও। পরে আত্মীয় স্বজনের মাধ্যমে উমেদনগর মাদ্রাসার নিকট থেকে তাকে আটক করা হয়।
৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোফজ্জল হক ফরিদ জানান, ওই বাড়ির লোকজনের কাছ থেকে বিস্তারিত শুনেছি এবং মহিলার কাছ থেকে কিছু স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে টাকা উদ্ধার করা যায়নি। তাকে বানিয়াচং থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। বানিয়াচং থানা পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বিভিন্ন স্থান থেকে স্বর্ণ প্রতারণার মাধ্যমে নেয়ার কথা স্বীকার করে এবং শহরের উষা শিল্পালয়ের মালিক উজ্জল রায়ের নিকট বিক্রির কথা জানায়। পরে পুলিশ উজ্জল রায়কে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বানিয়াচং থানার ওসি গোলাম মোস্তফা জানান, উজ্জল রায় এবং সুলেকাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে এবং রিমান্ডে এনে আরও রহস্য উদঘাটন করা হবে। এ মামলায় আরও যারা জড়িত বের করা হবে।
মন্তব্য করুন