সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে যৌতুকের জন্য স্ত্রীর মাথার চুল কাটা ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে স্বামী রুমন মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (১০ মে) রাতে অভিযান চালিয়ে নিজ গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। রবিবার অভিযুক্ত রুমন মিয়াকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতার রুমন মিয়া উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ৯ মাস আগে অভিযুক্ত রুমন মিয়া স্ত্রী আখি বেগমকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে প্রায়ই যৌতুকের জন্য নির্যাতনের শিকার হন স্ত্রী আখি বেগম।
এ নিয়ে একাধিকবার বার সালিশও হয়েছে। এরই মধ্যে গত ২৬ এপ্রিল ৫০ হাজার টাকার জন্য স্ত্রী আখি বেগমকে শারীরিক নির্যাতনের পর দা ও কাঁচি দিয়ে তার চুল কেটে নেন স্বামী রুমন মিয়া। এ ঘটনায় গত ৪ মে ভোক্তভোগী নারীর মা শাহানারা বেগম বাদি হয়ে জামাতা রুমন মিয়াকে প্রধান করে ৪ জনের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিষয়ে বাদী শাহানারা বেগম বলেন, ‘বিয়ের পর থেকেই আমার মেয়ের জামাই ও তার পরিবারের লোকজন টাকার জন্য আমার মেয়েকে প্রায়ই মারধর করত। মেয়ের সুখের জন্য আমি এক লাখ টাকাও দিয়েছি। তারপরও নির্যাতন বন্ধ হয়নি। তাই নিরুপায় হয়ে বিচার পেতে মামলা করেছি।’
নারী নির্যাতন ও চুল কেটে নেওয়ার ঘটনার সত্যতা জানিয়ে জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঞা বলেন, মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন