হাওর বেষ্টিত ভাটি অঞ্চলের রাজনৈতিক সচেতন এলাকা হিসেবে পরিচিত সুনামগঞ্জের দিরাই-শাল্লা। প্রবাদ আছে রাজনীতি শিখতে চাও দিরাই শাল্লায় চলে যাও। হাওরের রাজনীতির উর্বর ভূমি, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি,আমাদের প্রিয় জন্মভূমি দিরাইয়ের ঐতিহ্যবাহী তাড়ল গ্রামের রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম একসময়ের মেধাবী ছাত্রনেতা জনাব তাহির রায়হান চৌধুরী পাবেল।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে রাজনৈতিক জীবনের শুরুতেই দিরাই উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে সবার হৃদয়ে স্থান করে নেন। প্রখর মেধার অধিকারী পাবেল চৌধুরী ছাত্রজীবনেও প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। রাজনীতিতে ও মেধার পরিচয় দিয়ে দিরাই উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি, সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ও সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাস শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
সিলেটের ঐতিহ্যবাহী এম সি বিশ্ব বিদ্যালয় কলেজ থেকে প্রথম শ্রেণিতে এম এস সি ( সারা দেশের মধ্যে ৫ম স্থান) ও সিলেট আইন মহাবিদ্যালয় থকে এল এল বি ডিগ্রি অর্জন করে দীর্ঘদিন সিলেট জর্জকোটে সুনামের সাথে আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন পাবেল চৌধুরী।
তাঁর পিতা সর্বজন শ্রদ্ধেয় মরহুম আব্দুস শহীদ চৌধুরী তৎকালীন সুনামগঞ্জ মহকুমা ছাত্র ইউনিয়ের সাধারণ সম্পাদক, সভাপতি ও সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের নির্বাচিত ভিপি ছিলেন। সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন, দিরাই-শাল্লা উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতাকালীন সমন্বয়কারী, দিরাই উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এবং সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
পাবেল চৌধুরীর চাচা( তাঁর বাবার চাচাতো ভাই)মরহুম গোলাম জিলানী চৌধুরী ছিলেন ১৯৭৯ সালে দিরাই-শাল্লা আসন থেকে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক।
পারিবারিক ঐতিহ্যধরে রাখতে সুদুর যুক্তরাজ্যে বসবাস করলে ও বিএনপির রাজনীতিতে সর্বদা নিবেদিত প্রাণ পাবেল চৌধুরী। দুই মেয়াদে যুক্তরাজ্য বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও আইন বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে যুক্তরাজ্যে বিএনপির সিনিয়র সদস্য এবং সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সদ্য বিলুপ্ত কমিটির উপদেষ্টা ছিলেন।
২০১৪ সালের পর মরহুম আব্দুস শহীদ চৌধুরী বার্ধক্যজনিত কারণে রাজনীতি থেকে অবসর নিলে বাবার নির্দেশে লন্ডন থেকে বিলাসী জীবন ছেড়ে দলের দুঃসময়ে দিরাই-শাল্লার মানুষের পাশে দাড়ান।
২০১৭ সালের বন্যায় সুনামগঞ্জের কৃষকদের ফসল, এবং ঘরবাড়ি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হলে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশ নায়ক জনাব তারেক রহমানের নির্দেশনায় দিরাই -শাল্লার অসহায় কৃষকদের পাশে দাড়ান। ২০১৪ সালের নাটকীয় নির্বাচন থেকে শুরু করে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীদের ধড়-পাকড় হামলা, মামলা শুরু হলে তিনি আইন জীবি হিসেবে দলের নেতাকর্মীদের নিঃস্বার্থ ভাবে আইনী সহায়তা প্রদান সহ নির্যাতিত নেতাকর্মীদের পরিবারের খোঁজ খবর নিয়েছেন। সময়ে অসময়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন।
২০১৯ সালে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় শাল্লার জনপদ যখন উত্তপ্ত,তখন শতবছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে পাবেল চৌধুরীর নেতৃত্বে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী এডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী,ও এডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী সহ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ দিরাই শাল্লা সফর করেন। ২০২০ সালের প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস সংক্রামন ছড়িয়ে পড়লে, লকডাউনের জন্য মানুষ যখন কর্মহীন হয়ে পড়ে তখন তিনি মেডিকেল ইকুইপমেন্ট ও খাদ্য সামগ্রী নিয়ে মানুষের পাশে দাড়ান।
২০২২ সালে আকস্মিক বন্যায় যখন সিলেট বিভাগের সবগুলো অঞ্চল পাহাড়ি ডলে পানিতে তলিয়ে যায় তখন তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান সাহেবের নির্দেশে, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সম্মানিত সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মজলুম জননেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের উপস্থিতিতে দিরাই-শাল্লার বিভিন্ন এলাকায় শুকনো খাবার,ত্রান সামগ্রী ও নগদ অর্থ সহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষেকে সহায়তা করেন।
২০২৪ সালের নির্বাচনে দলীয় নির্দেশনায় ভোট বর্জনের জন্য এলাকায় প্রচারণা চালান এবং লিফলেট বিতরণ করেন। ২০২৪ জুলাইয়ে ছাত্র জনতার আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। দীর্ঘ ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী বিরোধী আন্দোলনে নেতাকর্মীদের পাশে থেকে প্রেরণা যোগিয়েছেন। দিরাই শাল্লা বাসী মনে করেন পাবেল চৌধুরী তার বাবার প্রতিচ্ছবি। শহীদ চৌধুরী আমৃত্যু দিরাই শাল্লা বাসীর সেবা করে গেছেন। পিতার শেখানো পথে হাঁটছেন ।
এ প্রজন্মের অহংকার ছাত্রনেতা থেকে তিলে তিলে গড়ে ওঠা জেলা বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন প্রাপ্ত এডভোকেট তাহির রায়হান চৌধুরী পাবেল। দিরাই-শাল্লাবাসী মনে করেন পাবেল চৌধুরী যেভাবে দীর্ঘ সতেরোটি বছর আওয়ামী বাকশালীদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ও দলীয় নেতাকর্মীর পাশে ছিলেন, আগামীতে সকল বাঁধার বিন্ধাচল ভেঙে দিরাই শাল্লা বাসীর সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখবেন। দলের নীতিনির্ধারনী ফোরাম পাবেল চৌধুরীর দীর্ঘ সতেরো বছর কাজের মুল্যায়ন করে, উন্নয়ন বঞ্চিত দিরাই - শাল্লার সার্বিক উন্নয়নের পথ সুগম করতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁর হাতে ধানের শীষ তুলে দিবেন।