Global Sylhet24
প্রকাশ : Jun 23, 2025 ইং
অনলাইন সংস্করণ

দিরাইয়ে গোলাগুলিতে আবু সাঈদ নিহত, অস্ত্রসহ আটক ৪

সুনামগঞ্জে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলিতে একজন নিহত হওয়ার পর সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার হাতিয়া গ্রামে তল্লাশি চালিয়ে অস্ত্র, গুলিসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদিকে নিহত ইলেকট্রিক মিস্ত্রি আবু সাঈদের (৩১) লাশ ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার (২৩ জুন) পারিবারিক কবরস্তানে দাফন করা হয়েছে। নিহত আবু সাঈদ দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের তারাপাশা গ্রামের তাজ মিয়ার ছেলে।


সিলেটে সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে। এতে জানানো হয়, রোববার (২২ জুন) সন্ধ্যায় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর গোলাগুলি ও একজনের লাশ পাওয়ার পর রাতভর যৌথবাহিনী দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের হাতিয়া গ্রামে তল্লাশি অভিযান চালায়। অভিযানে চারজনকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তাঁদের বসতঘর থেকে একটি বন্দুক, চারটি পাইপগান, সাতটি রামদা, নয়টি বল্লম, ছয়টি বুলেট প্রুফ জ্যাকেট, এক রাউন্ড তাজা বুলেট ও এক রাউন্ড ফায়ারকৃত ব্ল্যাংক কার্টিজ জব্দ করা হয়।

যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ব্যক্তিরা হলেন হাতিয়া গ্রামের তাজ উদ্দিন, আমির উদ্দিন, ইরন মিয়া ও জমির মিয়া। 

সেনাবাহিনী জানায়, আটক ব্যক্তিদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, আবু সাঈদ অজ্ঞাত কোনো সন্ত্রাসীর গুলিতে মারা গেছেন। তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার (২৩ জুন) সকাল নয়টায় অভিযান শেষ হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হাতিয়া গ্রামের বাসিন্দা বর্তমান চেয়ারম্যান যুবলীগের নেতা একরার হোসেন ও একই গ্রামের বাসিন্দা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আতিকুর রহমানের মধ্যে গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছে। এর জেরে দুই দিন ধরে গ্রামে উত্তেজনা চলছিল। উভয় পক্ষের মধ্যে শুক্রবার পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন ও গুলির ঘটনা ঘটে। এর আগেও দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। অস্ত্র প্রদর্শন হয়েছে প্রকাশ্যে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, রোববার বিকেলে সেনাবাহিনীর একটি টহল দল অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের ধরতে ওই গ্রামে গেলে একরার পক্ষের লোকজন হাতিয়া থেকে নৌকায় করে পালিয়ে পার্শ্ববর্তী জগন্নাথপুর উপজেলার চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়নের গাদালিয়া গ্রামে গিয়ে আশ্রয় নেন। সেনাবাহিনী সেখানে গিয়ে ওই গ্রামে ঘেরাও দিলে সেখানে আশ্রয় নেওয়া সন্ত্রাসীরা সেনাবাহিনীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় সেনাবাহিনীও গুলি করে। পরে সেখান থেকে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলে সেখানে আবু সাঈদের লাশ পাওয়া যায়। আবু সাঈদ দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের তারাপাশা গ্রামের তাজ মিয়ার ছেলে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

তারেক রহমানকে নিয়ে দ্য উইকের কাভার স্টোরি ‘নিয়তির সন্তান’

1

অগ্নিকাণ্ডের ৫ দিন পর সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রবেশ

2

বাংলাদেশে ব্যবসার সম্ভাবনা খুঁজে দেখছে পাকিস্তানের শিল্পগোষ্

3

বাংলাদেশের পাশে থাকার অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্রের

4

খালেদা জিয়া দেশে ফিরছেন কাল পথে থাকবে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা

5

যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকে ঢুকলে দেখা যাচ্ছে নতুন বার্তা

6

টেকসই ভবিষ্যৎ গড়তে বাংলাদেশের পাশে থাকবে জাতিসংঘ: গুতেরেস

7

সিলেটে ক্রেতাদের যে বার্তা জানাল বাটা

8

বাসায় ফিরেই তামিমের ফেসবুক পোস্ট, ধন্যবাদ জানালেন কাদের?

9

‘আমি ভয়ও পাচ্ছি, কারণ ইসরায়েলিদের বিশ্বাস করি না’

10

প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন নীতিমালা পুনর্মূল্যায়নে ১৭ সদস্যের কমিট

11

সুনামগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রা ‘আটকে দিতে অপপ্রচার’

12

ঘাসিটুলায় বেপরোয়া জাকিরের জুয়ার প্রতারণা পুলিশের ভূমিকা রহস্

13

ইরানের ১২ জন শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত

14

সিলেটে শিশুদের ঝগড়া নিয়ে প্রাণ হারালেন কাতার প্রবাসী

15

দক্ষিণ সুরমায় যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সভাপতি এম এ মালিকের উদ্যোগ

16

ঠাকুরগাঁওয়ে ইত্যাদির শুটিংয়ে কী ঘটেছিল, জানালেন হানিফ সংকেত

17

৪৩তম বিসিএসের ২২৭ জনের প্রজ্ঞাপন হয়নি এখনো, রোববারের মধ্যে প

18

প্রবীর মিত্রের শেষ দিনগুলো যেমন ছিল

19

প্রধান উপদেষ্টাকে মার্চে বেইজিং সফরে নিতে আগ্রহী চীন

20