মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক বিএনপির প্রবীণ নেতা মরহুম আব্দুস শহীদ চৌধুরী’র ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল সোমবার ।
তিনি ২০১৭ সালের ২৭ অক্টোবর ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে লন্ডনের কিংস কলেজ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন।
মরহুম আব্দুস শহীদ চৌধুরী সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী তাড়ল গ্রামে ১৯৪৮ সালে এক মুসলিম সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
ছাত্রজীবনে দিরাই উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশের পর ১৯৬৫ সালে তিনি সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজে ভর্তি হয়ে ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতির মধ্যে দিয়ে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। ১৯৬৭ সালে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সভানেত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীর উপস্থিতিতে সুনামগঞ্জ মহকুমা সম্মেলনে তিনি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
পরবর্তীতে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নাহিদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে শহীদ চৌধুরী জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হন।
১৯৬৯-১৯৭০ সালের সুনামগঞ্জ কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে শহীদ চৌধুরীর নেতৃত্বে ছাত্র ইউনিয়নের পূর্ণ প্যানেল বিজয় লাভ করে ও তিনি ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের আন্দোলনে সুনামগঞ্জে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্ব দিয়ে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন।
স্বাধীনতা পরবর্তীতে ঢাকার সেন্ট্রাল ‘ল’ কলেজে এলএলবি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাষ্টাস্)এম এ তে ভর্তি হন। কিন্তু পড়াশুনা শেষ না করে তিনি চীন ইরাক ইরান হয়ে জার্মানিতে চলে যান ও ১৯৭৫ সালের পর তিনি দেশে ফেরেন। ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পর জাগদল ও পরে বিএনপি গঠন করেন। সে সময় শহীদ চৌধুরী দিরাই শাল্লায় বিএনপি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন।
বিএনপি প্রতিষ্ঠা করে প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন, পরে তিনি তিনবার দিরাই উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও পরবর্তীতে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
তিন ছেলে তিন মেয়ে ছয় সন্তানের জনক মরহুম আব্দুস শহীদ চৌধুরীর সু-যোগ্য সন্তান অ্যাডভোকেট তাহির রায়হান চৌধুরী পাবেল তাঁর পিতার ন্যায় বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় থেকে দীর্ঘ ১৭ বৎসর যাবত দিরাই শাল্লায় মানুষের পাশে থেকে নেতৃত্ত্ব দিয়ে আসছেন।
মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দিরাই শাল্লা বাসীসহ সকলের কাছে তাঁর পিতার রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া চেয়েছেন।